আদেশ/ নোটিশ
Data coming soon... view more...
আদেশ/ নোটিশ
স্বাধীনতার “সম্মিলিত প্রয়াস”
স্বাধীনতার “সম্মিলিত প্রয়াস”
(Collective Effort for
Liberation)
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
- ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মিছিল বের করে। নারী, পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষ মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করে।
- ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
১৯৪৮ সালে তমদ্দুন মজলিস ও রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ঢাকায় ১১ মার্চ ভাষা দিবস এবং হরতাল পালন করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্ররা সরকারের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে মিছিল বের করলে পুলিশ ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালালে রফিক, সালাম, জব্বার ও বরকত সহ আরও অনেকে শহিদ হয়।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের অংশগ্রহণ
১৯৫৪ সালে পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পূর্বপাকিস্তানের সমমনা চারটি রাজনৈতিক দল পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী লীগ, কৃষক-প্রজা পার্টি, নেজামে ইসলামী ও বামপন্থী গণতন্ত্রী দল মিলে ১৯৫৩ সালের ৪ ই ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।
নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে এবং শেরে বাংলা এ-কে-ফজলুল হকের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফন্ট সরকারের কৃষি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠনের মাধ্যমে বাঙালী সর্বপ্রথম রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়, মাত্র ৫৬ দিন পর পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের কারণে এই সরকার ভেঙ্গে যায়।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করছেন শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৫৬ সালে শাসনতান্ত্রিক আন্দোলন
১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহিত হয়। প্রথম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও শাসনতন্ত্রে বাংলার স্বার্থ রক্ষা ও বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলায় ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলা হয়।
শিক্ষা আন্দোলন-১৯৬২
পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের সময়ে গঠিত “শরীফ শিক্ষা কমিশন” বাংলা ভাষার অস্তিত্ব বিপন্ন করতে (আরবী হরফে বাংলা লিখার সুপারিশ, বাধ্যতামূলক উর্দু শিক্ষা) নানা সুপারিশ করলে বাংলার ছাত্র সমাজ তার প্রতিবাদ জানায়।
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার জনগণের মধ্যে একটি অসম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন
১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলীয় সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য ছয়-দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
ক. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি।
খ. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
গ. মুদ্রা ও অর্থ সম্পর্কিত ক্ষমতা।
ঘ. রাজস্ব, কর ও শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
ঙ. বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
চ. আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
ছয়-দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যূত্থান
১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারিতে “রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য” নামে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় শেখ মুজিবুর রহমান-সহ বাংলার ৩৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করলে বাংলার জনগণ শেখ মুজিবুর রহমান-সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের মুক্তির জন্য বাংলার ছাত্রসমাজ সারাদেশ-ব্যাপী তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলে, যা “১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান” নামে পরিচিত।
১৯৭০ সালের নির্বাচন
১৯৭০ সালের নির্বাচনে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৩১৩ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন লাভ করে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩১০ টি আসনের মধ্যে ২৯৮ টি আসন লাভ করার মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।